স্ফুলিঙ্গ
আন্দোলিত।
অঙ্গনের
সমুখ-পথে পান্থ সখা
গিয়েছে বুঝি ক্লান্তপায়ে
দিগন্তরে।
বিরহবেণু
ধ্বনিছে তাই মন্দ বায়ে,
ছন্দে তারি কুন্দফুল
কাঁদিয়া ঝরে—
নবীন তৃণ
শিহরি উঠে ক্ষণে ক্ষণে।
৩৭
ছবির জগতে যেথা কোনো ভাষা নেই
সেথায় তোমার স্থির
দৃষ্টি
যে কাহিনী করিতেছে সৃষ্টি,
ঘটনাবিহীন তার বোবা ইতিহাস
কালো মেঘে ছেয়ে ফেলে
চিত্ত-আকাশ
বিষাদ-বাদল করে বৃষ্টি।
৩৮
ছবির আসরে এল
কত রাজা কত মহারাজা
নানা অলংকারে সাজা।
অকুণ্ঠিত এলে দ্বারীসাজে
সে সবার মাঝে
তুমি প্রাণবান্—
তাদের সবার চেয়ে তোমার সম্মান।