স্ফুলিঙ্গ
          কী আনিব আমি—
অন্তরের আশীর্বাদ
          দিন অন্তর্যামী।
      পথিকের কথাগুলি
      লভিবে পথের ধূলি—
জীবন করিবে পূর্ণ
          জীবনের স্বামী।

 

   ৮১

 

বিদায়-বেলার রবির পানে
      বনশ্রী তার অর্ঘ্য আনে
          অশোক ফুলের করুণ অঞ্জলি
আভাস তারই রঙিন মেঘে
      শেষ নিমেষে রইবে লেগে
          রবি যখন অস্তে যাবে চলি।

 

   ৮২

 

বিপুল প্রস্তরপিণ্ড ভূস্তরের কণ্ঠ রুদ্ধ করি
ছিল যুগে যুগান্তরে অর্থহীন দিবা বিভাবরী।
দীর্ঘ তপস্যার পরে ভাঙাইল প্রথম কুসুম
          ধরণীর বাণীহারা ঘুম।

 

      ৮৩

 

       বিরহী গগন ধরণীর কাছে
       পাঠালো লিপিকা। দিকের প্রান্তে
       নামে তাই মেঘ বহিয়া সজল
       বেদনা, বহিয়া তড়িৎচকিত
       ব্যাকুল আকুতি। উৎসুক ধরা
       ধৈর্য হারায়, পারে না লুকাতে