স্ফুলিঙ্গ

   ১০৩

 

  যশের বোঝা তুলিয়া লয়ে কাঁধে
        নামটা মোর মরে মরুক ঘুরে,
  মনটা আমার যেন অপ্রমাদে
        শান্ত হয়ে রহে অনেক দূরে।

 

   ১০৪

 

  যাহা খুশি তাই করে
        বিশ্বশিল্পী সকালে বিকালে
                   রঙের খেয়ালে।
  সেই নেশা লেখনীতে এসে
        মনেরে উদাসী করে
                   রঙিনের দেশে।

 

   ১০৫

 

     যুগল যাত্রী করিছ যাত্রা,
             নূতন তরণীখানি—
     নবজীবনের অভয়বার্তা
        বাতাস দিতেছে আনি।
     দোঁহার পাথেয় দোঁহার সঙ্গ
        অফুরান হয়ে রবে—
     সুখের দুখের যত তরঙ্গ
        খেলার মতন হবে।

 

   ১০৬

 

     রুদ্র সমুদ্রের বক্ষ,
        ক্ষুদ্র এ তরণীর কক্ষ—
             স্থল হতে জলে জলে