১১

না জানি কারে দেখিয়াছি,

                 দেখেছি কার মুখ।

      প্রভাতে আজ পেয়েছি তার চিঠি।

পেয়েছি তাই সুখে আছি,

                 পেয়েছি এই সুখ —

      কারেও আমি দেখাব নাকো সেটি।

লিখন আমি নাহিকো জানি —

বুঝি না কী যে রয়েছে বাণী —

      যা আছে থাক্‌ আমার থাক্‌ তাহা।

পেয়েছি এই সুখে আজি

পবনে উঠে বাঁশরি বাজি,

       পেয়েছি সুখে পরান গাহে ‘আহা '।

 

পণ্ডিত সে কোথা আছে,

                 শুনেছি নাকি তিনি

     পড়িয়া দেন লিখন নানামতো।

যাব না আমি তাঁর কাছে,

                তাঁহারে নাহি চিনি,

     থাকুন লয়ে পুরানো পুঁথি যত।

শুনিয়া কথা পাব না দিশে,

বুঝেন কিনা বুঝিব কিসে,

       ধন্দ লয়ে পড়িব মহা গোলে।

তাহার চেয়ে এ লিপিখানি

মাথায় কভু রাখিব আনি

       যতনে কভু তুলিব ধরি কোলে।

 

রজনী যবে আঁধারিয়া

                আসিবে চারি ধারে,

      গগনে যবে উঠিবে গ্রহতারা ;

ধরিব লিপি প্রসারিয়া

               বসিয়া গৃহদ্বারে —