পুনশ্চ

               একদিন ছিল ঠেলাঠেলি ভিড়।

         কমলার পাশে বসেছে একজন আধা-ইংরেজ।

ইচ্ছে করছিল, অকারণে টুপিটা উড়িয়ে দিই তার মাথা থেকে,

         ঘাড়ে ধরে তাকে রাস্তায় দিই নামিয়ে।

      কোনো ছুতো পাই নে, হাত নিশ্‌পিশ্‌ করে।

এমন সময়ে সে এক মোটা চুরোট ধরিয়ে

                     টানতে করলে শুরু।

         কাছে এসে বললুম, ‘ ফেলো চুরোট। '

             যেন পেলেই না শুনতে,

      ধোঁওয়া ওড়াতে লাগল বেশ ঘোরালো করে।

              মুখ থেকে টেনে ফেলে দিলেম চুরোট রাস্তায়।

      হাতে মুঠো পাকিয়ে একবার তাকালো কট্‌মট্‌ ক'রে —

আর কিছু বললে না, এক লাফে নেমে গেল।

                 বোধ হয় আমাকে চেনে।

         আমার নাম আছে ফুটবল খেলায়,

             বেশ একটু চওড়া গোছের নাম।

      লাল হয়ে উঠল মেয়েটির মুখ,

             বই খুলে মাথা নিচু করে ভান করলে পড়বার।

      হাত কাঁপতে লাগল,

             কটাক্ষেও তাকালে না বীরপুরুষের দিকে।

আপিসের বাবুরা বললে, ‘বেশ করেছেন মশায়। '

      একটু পরেই মেয়েটি নেমে পড়ল অজায়গায়,

         একটা ট্যাক্সি নিয়ে গেল চলে।

 

           পরদিন তাকে দেখলুম না,

                 তার পরদিনও না,

             তৃতীয় দিনে দেখি

         একটা ঠেলাগাড়িতে চলেছে কলেজে।

বুঝলুম, ভুল করেছি গোঁয়ারের মতো।

         ও মেয়ে নিজের দায় নিজেই পারে নিতে,

             আমাকে কোনো দরকারই ছিল না।