পুনশ্চ

মণি বলে, ‘হেই দাদা, হেই ব্যাঙ্গমা,

        আমাকেও নিয়ে চলো,

           ফিরিয়ে আনি গে। '

 

ব্যাঙ্গমা মেলে দিল পাখা,

           মণিদিদি উড়ে চলে সারা রাত্রি ধ'রে।

    ভোর হল, এল চিত্রকূটগিরি —

               সেইখানে মেঘেদের পাড়া।

মণি ডাকে, ‘হানাসান! কোথা হানাসান!

        খেলা যে আমার প'ড়ে আছে। '

      

নীল মেঘ বলে এসে,

‘মানুষ কি খেলা জানে?

    খেলা দিয়ে শুধু বাঁধে যাকে নিয়ে খেলে। '

মণি বলে, ‘তোমাদের খেলা কিরকম। '

        কালো মেঘ ভেসে এল

           হেসে চিকিমিকি,

               ডেকে গুরু গুরু

    বলে, ‘ওই চেয়ে দেখো, হানাসান হল নানাখানা —

           ওর ছুটি নানা রঙে

               নানা চেহারায়,

                   নানা দিকে

                       বাতাসে বাতাসে

                          আলোতে আলোতে। '

মণি বলে, ‘ব্যাঙ্গমা দাদা,

    এ দিকে বিয়ে যে ঠিক —

        বর এসে কী বলবে শেষে। '

ব্যাঙ্গমা হেসে বলে,

    ‘আছে চামচিকে ভায়া,

        বরকেও নিয়ে দেবে পাড়ি।

           বিয়ের খেলাটা সেও

        মিলে যাবে সূর্যাস্তের শূন্যে এসে

           গোধূলির মেঘে। '