সেঁজুতি

ছুটির কোণে গোপনে তার নাম

আচম্‌কা সেই পেয়েছিল মিষ্টিসুরের দাম ;

কানে কানে সে নাম ডাকার ব্যথা উদাস করে

          চৈত্রদিনের স্তব্ধ দুইপ্রহরে।

আজ সবুজ এই বনের পাতায় আলোর ঝিকমিকি

          সেই নিমেষের তারিখ দিল লিখি।

 

 

তাহারে ডাক দিয়েছিল পদ্মানদীর ধারা,

কাঁপন-লাগা বেণুর শিরে দেখেছে শুকতারা ;

          কাজল-কালো মেঘের পুঞ্জ সজল সমীরণে

নীল ছায়াটি বিছিয়েছিল তটের বনে বনে ;

          ও দেখেছে গ্রামের বাঁকা বাটে

      কাঁখে কলস মুখর মেয়ে চলে স্নানের ঘাটে ;

          সর্ষেতিসির খেতে

দুইরঙা সুর মিলেছিল অবাক আকাশেতে ;

      তাই দেখেছে চেয়ে চেয়ে অস্তরবির রাগে —

          বলেছিল, এই তো ভালো লাগে।

সেই-যে ভালো-লাগাটি তার যাক সে রেখে পিছে,

কীর্তি যা সে গেঁথেছিল হয় যদি হোক মিছে,

          না যদি রয় নাই রহিল নাম —

এই মাটিতে রইল তাহার বিস্মিত প্রণাম।