সংযোজন
অবিচার

নারীর দুখের দশা অপমানে জড়ানো

এই দেখি দিকে দিকে ঘরে ঘরে ছড়ানো।

জানো কি এ অন্যায় সমাজের হিসাবে

নিমেষে নিমেষে কত হলাহল মিশাবে?

পুরুষ জেনেছে এটা বিধিনির্দিষ্ট

তাদের জীবন-ভোজে নারী উচ্ছিষ্ট।

রোগ-তাপে সেবা পায়, লয় তাহা অলসে--

সুধা কেন ঢালে বিধি ছিদ্র এ কলসে!

সমসম্মান হেথা নাহি মানে পুরুষে,

নিজ প্রভুপদমদে তুলে রয় ভুরু সে।

অর্ধেক কাপুরুষ অর্ধেক রমণী

তাতেই তো নাড়ীছাড়া এ দেশের ধমণী।

বুঝিতে পারে না ওরা-- এ বিধানে ক্ষতি কার।

জানি না কী বিপ্লবে হবে এর প্রতিকার।

একদা পুরুষ যদি পাপের বিরুদ্ধে

দাঁড়ায়ে নারীর পাশে নাহি নামে যুদ্ধে

অর্ধেক-কালি-মাখা সমাজের বুকটা

খাবে তবে বারে বারে শনির চাবুকটা।

এত কথা বৃথা বলা--যে পেয়েছে ক্ষমতা

নিঃসহায়ের প্রতি নাই তার মমতা,

আপনার পৌরুষ করি দিয়া লাঞ্ছিত

অবিচার করাটাই হয় তার বাঞ্ছিত।


প্রচ্ছন্ন পশু

সংগ্রামমদিরাপানে আপনা-বিস্মৃত

দিকে দিকে হত্যা যারা প্রসারিত করে

মরণলোকের তারা যন্ত্রমাত্র শুধু,