বীথিকা

বেড়ার ধারে বেগনিগুচ্ছে ফুল্ল জারুল

          দখিন - হাওয়ার সোহাগেতে শাখা নড়ায়।

তরুণ রৌদ্রে তপ্ত মাটির মৃদুশ্বাসে

           তুলসীঝোপের গন্ধটুকু ঢুকছে ঘরে।

খামখেয়ালী একটা ভ্রমর আশে - পাশে

          গুঞ্জরিয়া যায় উড়ে কোন্‌ বনান্তরে।

পাঠশালা সে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে এড়ায়,

          শেখার মতো কোনো কিছুই হয় নি শেখা ;

আলোছায়ায় ছন্দ তাহার খেলিয়ে বেড়ায়

          আলুথালু অবকাশের অবুঝ লেখা।

সবুজ সোনা নীলের মায়া ঘিরল তাকে ;

          শুকনো ঘাসের গন্ধ আসে জানলা ঘুরে ;

পাতার শব্দে, জলের শব্দে, পাখির ডাকে

          প্রহরটি তার আঁকাজোকা নানান সুরে।

সব নিয়ে যে দেখল তারে পায় সে দেখা

           বিশ্বমাঝে ধুলার'পরে অলজ্জিত—

নইলে সে তো মেঠো পথে নীরব একা

          শিথিলবেশে অনাদরে অসজ্জিত।