পত্রপুট

                      তখন অপরাহ্নের হয়েছে অবসান।

           ভেবেছিলেম আমোদ হবে প্রচুর,

          অসংযত কোলাহল উচ্ছ্বসিত মদিরার মতো

                     রাত্রিকে দেবে ফেনিল করে।

 

শিখরে গিয়ে পৌঁছলেম অবারিত আকাশে,

        সূর্য নেমেছে অস্তদিগন্তে

                  নদীজালের রেখাঙ্কিত

                            বহুদূরবিস্তীর্ণ উপত্যকায়।

        পশ্চিমের দিগ্‌বলয়ে,

                  সুরবালকের খেলার অঙ্গনে

                        স্বর্ণসুধার পাত্রখানা বিপর্যস্ত,

                                 পৃথিবী বিহ্বল তার প্লাবনে।

 

প্রমোদমুখর সঙ্গীরা হল নিস্তব্ধ।

       দাঁড়িয়ে রইলেম স্থির হয়ে।

                    এস্‌রাজটা নিঃশব্দ পড়ে রইল মাটিতে,

       পৃথিবী যেমন উন্মুখ হয়ে আছে

                      তার সকল কথা থামিয়ে দিয়ে।

        মন্ত্ররচনার যুগে জন্ম হয় নি,

                মন্দ্রিত হয়ে উঠল না মন্ত্র

                     উদাত্তে অনুদাত্তে।

এমন সময় পিছন ফিরে দেখি

      সামনে পূর্ণচন্দ্র,

             বন্ধুর অকস্মাৎ হাস্যধ্বনির মতো।

                   যেন সুরলোকের সভাকবির

                           সদ্যোবিরচিত কাব্যপ্রহেলিকা

                                  রহস্যে রসময়।

 

গুণী বীণায় আলাপ করে প্রতিদিন।

      একদিন যখন কেউ কোথাও নেই

                 এমন সময় সোনার তারে রুপোর তারে