মিলনযাত্রা

চন্দনধূপের গন্ধ ঠাকুরদালান হতে আসে,

     শান - বাঁধা আঙিনার একপাশে

          শিউলির তল

     আছন্ন হতেছে অবিরল

          ফুলের সর্বস্বনিবেদনে।

     গৃহিণীর মৃতদেহ বাহির - প্রাঙ্গণে

          আনিয়াছে বহি ;

বিলাপের গুঞ্জরণ স্ফীত হয়ে ওঠে রহি রহি ;

     শরতের সোনালি প্রভাতে

          যে আলোছায়াতে

     খচিত হয়েছে ফুলবন,

          মৃতদেহ - আবরণ

     আশ্বিনের সেই ছায়া - আলো

          অসংকোচে সহজে সাজালো।

 

     জয়লক্ষ্মী এ ঘরের বিধবা ঘরণী

আসন্ন মরণকালে দুহিতারে কহিলেন, ‘ মণি,

     আগুনের সিংহদ্বারে চলেছি যে দেশে

          যাব সেথা বিবাহের বেশে।

     আমারে পরায়ে দিয়ো লাল চেলিখানি,

          সীমন্তে সিঁদুর দিয়ো টানি। '

                   যে উজ্জ্বল সাজে

    একদিন নববধূ এসেছিল এ গৃহের মাঝে ,

           পার হয়েছিল যে দুয়ার,

             উত্তীর্ণ হল সে আরবার

        সেই দ্বার সেই বেশে

            ষাট বৎসরের শেষে।

                এই দ্বার দিয়ে আর কভু

    এ সংসারে ফিরিবে না সংসারের একচ্ছত্র প্রভু।

               অক্ষুণ্ন শাসনদণ্ড স্রস্ত হল তার,