দুঃখী

          দুঃখী তুমি একা,

                   যেতে যেতে কটাক্ষেতে পেলে দেখা—

          হোথা দুটি নরনারী নববসন্তের কুঞ্জবনে

                         দক্ষিণ পবনে।

                   বুঝি মনে হল, যেন চারি ধার

                  সঙ্গীহীন তোমারেই দিতেছে ধিক্কার।

          মনে হল, রোমাঞ্চিত অরণ্যের কিশলয়

                   এ তোমার নয়।

               ঘনপুঞ্জ অশোকমঞ্জরী

             বাতাসের অন্দোলনে ঝরি ঝরি

                   প্রহরে প্রহরে

                          যে নৃত্যের তরে

          বিছাইছে আস্তরণ বনবীথিময়,

                   সে তোমার নয়।

          ফাল্গুনের এই ছন্দ, এই গান,

                   এই মাধুর্যের দান,

                             যুগে যুগান্তরে

                শুধু মধুরের তরে

          কমলার আশীর্বাদ করিছ সঞ্চয়,

                   সে তোমার নয়।

          অপর্যাপ্ত ঐশ্বর্যের মাঝখান দিয়া

                   অকিঞ্চনহিয়া

                  চলিয়াছ দিনরাতি,

                   নাই সাথি,

                পাথেয় সম্বল নাই প্রাণে,

                   শুধু কানে

                চারি দিক হতে সবে কয়—

                    ‘ এ তোমার নয় '।

 

                   তবু মনে রেখো, হে পথিক,