আটাশ

তুমি প্রভাতের শুকতারা

    আপন পরিচয় পালটিয়ে দিয়ে

           কখনো বা তুমি দেখা দাও

                      গোধূলির দেহলিতে,

           এই কথা বলে জ্যোতিষী।

    সূর্যাস্তবেলায় মিলনের দিগন্তে

            রক্ত - অবগুণ্ঠনের নিচে

         শুভদৃষ্টির প্রদীপ তোমার জ্বাল

                       শাহানার সুরে।

    সকালবেলায় বিরহের আকাশে

         শূন্য বাসরঘরের খোলা দ্বারে

              ভৈরবীর তানে লাগাও

                     বৈরাগ্যের মূর্ছনা।

 

               সুপ্তিসমুদ্রের এপারে ওপারে,

                                চিরজীবন,

              সুখদুঃখের আলোয় অন্ধকারে

                         মনের মধ্যে দিয়েছ

                               আলোকবিন্দুর স্বাক্ষর।

                  যখন নিভৃতপুলকে রোমাঞ্চ লেগেছে মনে

                        গোপনে রেখেছ তার ’পরে

         সুরলোকের সম্মতি,

                      ইন্দ্রাণীর মালার একটি পাপড়ি,

          তোমাকে এমনি করেই জেনেছি

                আমাদের সকালসন্ধ্যার সোহাগিনী।

 

     পণ্ডিত তোমাকে বলে শুক্রগ্রহ ;

     বলে, আপন সুদীর্ঘ কক্ষে

           তুমি বৃহৎ, তুমি বেগবান,

                         তুমি মহিমান্বিত ;