স্ফুলিঙ্গ

লয়ে বারে বারে ;

আমি তাঁরে হেঁকে বলি

সরোষ গলায়—

শেষ দাঁড়ি টানিয়াছি

কাব্যের কলায়।

মনে মনে হাসে,

তবুও সে ফিরে ফিরে আসে।

তারপর এ কী?

সকালে উঠিয়া দেখি

নির্লজ্জ লাইনগুলো যত

বাহির হইয়া আসে গুহা হতে নির্ঝরের মতো।

পশ্চিমবঙ্গের কবি দেখিলাম মোর

বাঙালের মতো নাই জেদের অপ্রতিহত জোর।


৪৯

সুধীর বাঙাল গেল কোথায়

সুধীর বাঙাল কৈ?

সাতটা থেকে আমার মুখে

নেই কথা এই বৈ।


৫০

    নাকের ডগা ঘসিয়া হাসে

    দেয় না পষ্ট জবাব বাঙাল

কাজ করে সে ষোলো আনার

    খাতা এবং ছাপাখানার

মাঝখানে সে বাঁধে জাঙাল।


৫১

সুধীর যখন কর্ম করেন সু— ধীর করক্ষেপে

ধৈর্যহারা কবি যান যে ক্ষেপে।