স্ফুলিঙ্গ

রেগেমেগে কাজুরামকে বলেন— ' সুধীর কর - কে

বোলাও জলদি করকে। '

মাথা চুলকে বাঙাল যখন সামনে এসে দাঁড়ায়

তখন তাহার মুখের ভাবটা উষ্মা তাঁহার তাড়ায়।


৫২

লেখার যত আবর্জনা, জেনে রেখো সকলে

সমস্ত রয় কর - মশায়ের দখলে।


৫৩

আরোগ্যশালার রাজকবি

সুধাকান্ত আঁকে বসি প্রত্যহের তুচ্ছতার ছবি।

মনে আছে একমাত্র আশা

বুদ্‌বুদের ইতিহাসে সুদীর্ঘকালের নেই ভাষা।

বাহিরে চলেছে দূরে বিরাটের প্রলয়ের পালা

অকিঞ্চিৎকরের স্তূপ জমাইছে এ আরোগ্যশালা।

লিখিবার বাণী কোথা যে দিকেই দু চক্ষু বুলাই

অর্থহীন ছড়া কেটে কোনোমতে নিজেরে ভুলাই।

ধাক্কা তারে দেয় পিছে ক্ষ্যাপা ঊনপঞ্চাশ বায়ু

এ বেলা ও বেলা তার আয়ু।

   পোষাকি যে সাজে

মাথা তুলে বসি সভামাঝে,

সে আমার রঙ মাজা খোলসগুলোয়

   ঢিল লেগে তারা আজ খসেছে ধুলোয়,

সুধাকান্ত নেপথ্যেই লোক করে জড়ো,

   পাঁচ জনে খুশি হয় বড়ো

     যত তারা বলে বাহা - বাহা

   কবিবর ঝাঁট দিয়ে আনে যাহা তাহা।