শৈশবসঙ্গীত
    রবিরেই বাসে ভালো!
কাননবিপিনে কত ফুল ফুটে
    কিছুই বালা না জানে,
হৃদয়ের কথা কহে সুবদনী,
    সখীদের কানে কানে।
হোথায় দেখেছ লজ্জাবতী লতা
    লুটায়ে ধরণী-’পরে,
ঘার হেঁট করি কেমন রয়েছে
    মরমসরম-ভরে।
দূর হতে তার দেখিয়া আকার
    মির যদিবা আসে
সরমে সভয়ে মলিন হইয়া
    স’রে যায় এক পাশে!
গুন গুন করি যদিবা মির
    শুধায় প্রেমের কথা—
কাঁপে থর থর, না দেয় উতর,
    হেঁট করি থাকে মাথা!
ওই দেখ হোথা রজনীগন্ধা
    বিকাশে বিশদ বিভা,
মধুপে ডাকিয়া দিতেছে হাঁকিয়া
    ঘাড় নাড়ি নাড়ি কিবা!”

চমকিয়া কহে কল্পনাবালা,—
    “দেখিয়া কাননছবি
ভুলিয়ে গেলাম যে কাজে আমরা
    এসেছি এখানে কবি!
ওই যে মালতী বিরলে বসিয়া
    সুবাস দিয়াছে এলি,
মাথার উপরে আটকে তপন
    প্রজাপতি পাখা মেলি।