শৈশবসঙ্গীত
এস দেখি, কবি, ওইখানটিতে
    দাঁড়াই গাছের তলে,
শুনি চুপি চুপি মালতীবালারে
    মির কি কথা বলে।”
কহিছে মির, “কুসুমকুমারি—
    বকুল পাঠালে মোরে,
তাই ত্বরা ক’রে এসেছি হেথায়
    বারতা শুনাতে তোরে!
অশোকবালক কি যে হয়ে গেছে
    সে কথা বলিব কারে।
তোর মত হেন মোহিনীবালারে
    ভুলিতে কি কভু পারে?
তবু তারে আহা উপেখিয়া তুই
    র’বি কি হেথায় বোন?
পরাণ সঁপিয়া অশোক তবু কি
    পাবে নাকো তোর মন?
মনের হুতাশে আশারে পুড়ায়ে
    উদাস হইয়া গেছে,
কাননে কাননে খুঁজিয়া বেড়াই
    কে জানে কোথায় আছে।”
চমকি উঠিল মালতীবালিকা
    ঘুম হ’তে যেন জাগি,
অবাক্‌ হইয়া রহিল বসিয়া
    কি জানি কিসের লাগি!
“চলিয়া গিয়াছে অশোককুমার?”
    কহিল ক্ষণেক-পর,
“চলিয়া গিয়াছে অশোক আমার
    ছাড়িয়া আপন ঘর?
তবে আর আমি বিষাদকাননে
    থাকিব কিসের আশে?