ভারতীবন্দনা
আজিকে তোমার মানসসরসে
    কি শোভা হয়েছে, মা!
অরুণবরণ চরণপরশে
কমলকানন হরষে কেমন
    ফুটিয়ে রয়েছে, মা!
নীরবে চরণে উথলে সরসী,
নীরবে কমল করে টলমল,
    নীরবে বহিছে বায়।
মিলি কত রাগ মিলিয়ে রাগিণী
আকাশ হইতে করে গীতধ্বনি,
শুনিয়ে সে গীত অকাশ-পাতাল
    হয়েছে অবশপ্রায়।
শুনিয়ে সে গীত হয়েছে মোহিত
    শিলাময় হিমগিরি—
পাখীরা গিয়েছে গাহিতে ভুলিয়া,
সরসীর বুক উঠিছে ফুলিয়া,
ক্রমশঃ ফুটিয়া ফুটিয়া উঠিছে
    তানলয় ধীরি ধীরি।
তুমি গো জননি, রয়েছ দাঁড়ায়ে
    সে গীতধারার মাঝে,
বিমল জোছনা-ধারার মাঝারে
    চাঁদটি যেমন সাজে।
দশ দিশে দিশে ফুটিয়া পড়েছে
    বিমল দেহের জ্যোতি,
মালতীফুলের পরিমল-সম
    শীতল মৃদুল অতি।
আলুলিত চুলে কুসুমের মালা,
সুকুমার করে মৃণালের বালা,
    লীলাশতদল ধরি,