শৈশবসঙ্গীত
                চল, সবে চল, হসিত-আনন,
                        চল ত্বরা চল, চল গো যাই!”
                “ও যে মরীচিকা” — “ও কি মরীচিকা?”
                        “মরীচিকা?” “তাই হবে!”
                “বল, বল মোরে, এ দীর্ঘ পথের
                        শেষে কোন্‌ খানে তবে?”

                অবশ চরণ হেন উঠিতে চাহে না যেন—
                        পারি না বহিতে দেহভার।
                        এ পথের বাকি কত আর!
                           কেন  চলিলাম?
                সে দিনের যত কথা কেন ভুলিলাম?
                ছেলেবেলা এক দিন আমরাও চলেছিনু—
                তরুণ আশায় মাতি আমরাও বলেছিনু—
                “সারা পথ আমাদের হবে না বিরহ,
                মোরা সবে এক সাথে রব অহরহ।”
                অর্দ্ধপথে না যাইতে যত বাল্যসখা
                কে কোথায় চঞ্চলে গেল না পাইনু দেখা।
                শ্রান্তপদে দীর্ঘ পথ ভ্রমিলাম একা।
                নিরাশাপুরেতে গিয়া সে যাত্রা করেছি শেষ,
                পুন কেন বাহিরিনু ভ্রমিতে নূতন দেশ?
                ভগ্নআশাভিত্তি-’পরে নব-আশা কেন
                গড়িতে গেলাম হায় উনমাদ-হেন?
                আঁধার কবরে সেথা মৃত ঘটনার
                কঙ্কাল আছিল প’ড়ে, স্মৃতি নাম যার।
                এক দিন ছিল যাহা তাই সেথা আছে,
                আর কভু হবে না যা তাই সেথা আছে—
                এক দিন ফুটেছিল যে ফুল-সকল
                        তারি শুষ্ক দল,
                এক দিন যে পাদপ তুলেছিল মাথা
                        তারি শুষ্ক পাতা,