সে

দ্বার খুলে বলে, পড়ো ঢুকে,

ছাগল চিবিয়ে খাও সুখে।

বাঘ সে ঢুকল যেই,

দ্বিতীয় কথাটি নেই,

 বাহিরে শিকল দিল রুখে।

 

বাঘ বলে, এ তো বোঝা ভার,

তামাসার এ নহে আকার।

পাঁঠার দেখি নে টিকি,

লেজের সিকির সিকি

 নেই তো, শুনি নে ভ্যাভ্যাকার।

 

ওরে হিংসুক সয়তান,

জীবের বধিতে চাস্‌ প্রাণ!

ওরে ক্রূর, পেলে তোরে

থাবায় চাপিয়া ধ’রে

 রক্ত শুষিয়া করি পান—

 

ঘরটাও ভীষণ ময়লা—

বটু বলে, মহেশ গয়লা

ও ঘরে থাকিত, আজ

থাকে তোর যমরাজ

 আর থাকে পাথুরে কয়লা।

 

গোঁফ ফুলে ওঠে যেন ঝাঁটা,

বাঘ বলে, গেল কোথা পাঁঠা!

বটুরাম বলে নেচে,

এই পেটে তলিয়েছে,

 খুঁজিলে পাবে না সারা গাঁটা।

 

ভালো লাগল?

তা, যাই বলো দাদামশায়, কিন্তু বাঘের ছড়া খুব ভালো লিখেছে।