ছন্দের অর্থ
এই চোদ্দ মাত্রা-সমষ্টির ছন্দ আরো কত রকম হতে পারে তার কতকগুলি নমুনা দেওয়া যাক। দুই-পাঁচ দুই-পাঁচ ভাগের ছন্দ, যথা১–
সে যে আপন মনে শুধু দিবস গণে,
তার চোখের বারি কাঁপে আঁখির কোণে।

চার-তিন চার-তিন ভাগ–

নয়নের সলিলে যে কথাটি বলিলে
রবে তাহা স্মরণে জীবনে ও মরণে।

কিংবা এক-ছয় এক-ছয় ভাগ–

যে কথা নাহি শোনে সে থাক্‌ নিজমনে,
কে বৃথা নিবেদনে রে ফিরে তার সনে।

সাত-চার-তিনের ভাগ–

চাহিছ বারে বারে আপনারে ঢাকিতে,
মন না মানে মানা মেলে ডানা আঁখিতে।

এই কবিতাটাকেই অন্য লয়ে পড়া যায়–

চাহিছ বারে বারে আপনারে ঢাকিতে,
মন না মানে মানা মেলে ডানা আঁখিতে।

তিন-তিন-তিন-তিন-দুইয়ের ভাগ–

ব্যাকুল বকুল ঝরিল পড়িল ঘাসে,
বাতাস উদাস আমের বোলের বাসে।

একেই ছয়-আটের ভাগে পড়া যায়–

১ এই প্রত্যেক দন্ডচিহ্নের অনুসরণ করে তাল দেওয়া আবশ্যক।