পলাতকা

হোলির সময় বাপকে সেবার বাতে ধরল ভারি।

          পাড়ায় পুলিন করছিল ডাক্তারি,

               ডাকতে হল তারে।

          হৃদয়যন্ত্র বিকল হতে পারে

               ছিল এমন ভয়।

পুলিনকে তাই দিনের মধ্যে বারেবারেই আসতে যেতে হয়।

               মঞ্জুলী তার সনে

     সহজভাবেই কইবে কথা যতই করে মনে

          ততই বাধে আরো।

          এমন বিপদ কারো

               হয় কি কোনোদিন।

     গলাটি তার কাঁপে কেন, কেন এতই ক্ষীণ,

          চোখের পাতা কেন

        কিসের ভারে জড়িয়ে আসে যেন।

          ভয়ে মরে বিরহিণী

শুনতে যেন পাবে কেহ রক্তে যে তার বাজে রিনিরিনি।

     পদ্মপাতায় শিশির যেন, মনখানি তার বুকে

  দিবারাত্রি টলছে কেন এমনতরো ধরা-পড়ার মুখে।

 

 

          ব্যামো সেরে আসছে ক্রমে,

     গাঁঠের ব্যথা অনেক এল কমে।

                   রোগী শয্যা ছেড়ে

          একটু এখন চলে হাত-পা নেড়ে।

                    এমন সময় সন্ধ্যাবেলা

     হাওয়ায় যখন যূথীবনের পরানখানি মেলা,

     আঁধার যখন চাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে

          চুপ করে শেষ তাকিয়ে থাকে চেয়ে,

     তখন পুলিন রোগী-সেবার পরামর্শ-ছলে

          মঞ্জুলিরে পাশের ঘরে ডেকে বলে —

“ জান তুমি তোমার মায়ের সাধ ছিল এই চিতে

                   মোদের দোঁহার বিয়ে দিতে।