চিত্রা

               পূর্ণপ্রস্ফুটিতা।

 

 

যুগযুগান্তর হতে তুমি শুধু বিশ্বের প্রেয়সী

          হে অপূর্বশোভনা উর্বশী!

মুনিগণ ধ্যান ভাঙি দেয় পদে তপস্যার ফল,

তোমারি কটাক্ষঘাতে ত্রিভুবন যৌবনচঞ্চল,

তোমার মদির গন্ধ অন্ধবায়ু বহে চারি ভিতে,

মধুমত্তভৃঙ্গসম মুগ্ধ কবি ফিরে লুব্ধচিতে

               উদ্দাম সংগীতে।

         নূপুর গুঞ্জরি যাও আকুল-অঞ্চলা

               বিদ্যুৎ-চঞ্চলা।

 

 

সুরসভাতলে যবে নৃত্য কর পুলকে উল্লসি

          হে বিলোলহিল্লোল উর্বশী,

ছন্দে ছন্দে নাচি উঠে সিন্ধুমাঝে তরঙ্গের দল,

শস্যশীর্ষে শিহরিয়া কাঁপি উঠে ধরার অঞ্চল,

তব স্তনহার হতে নভস্তলে খসি পড়ে তারা —

অকস্মাৎ পুরুষের বক্ষোমাঝে চিত্ত আত্মহারা,

                নাচে রক্তধারা।

     দিগন্তে মেখলা তব টুটে আচম্বিতে

                অয়ি অসম্‌বৃতে।

 

 

স্বর্গের উদয়াচলে মূর্তিমতী তুমি হে উষসী,

          হে ভুবনমোহিনী উর্বশী!

জগতের অশ্রুধারে ধৌত তব তনুর তনিমা,

ত্রিলোকের হৃদিরক্তে আঁকা তব চরণশোণিমা।

মুক্তবেণী বিবসনে, বিকশিত বিশ্ব-বাসনার

অরবিন্দ-মাঝখানে পাদপদ্ম রেখেছ তোমার

               অতি লঘুভার —