চিত্রা

      অখিল মানসস্বর্গে অনন্তরঙ্গিণী,

               হে স্বপ্নসঙ্গিনী।

 

 

ওই শুন দিশে দিশে তোমা লাগি কাঁদিছে ক্রন্দসী

          হে নিষ্ঠুরা বধিরা উর্বশী!

আদিযুগ পুরাতন এ জগতে ফিরিবে কি আর,

অতল অকূল হতে সিক্তকেশে উঠিবে আবার?

প্রথম সে তনুখানি দেখা দিবে প্রথম প্রভাতে

সর্বাঙ্গে কাঁদিবে তব নিখিলের নয়ন-আঘাতে

               বারিবিন্দুপাতে —

       অকস্মাৎ মহাম্বুধি অপূর্ব সংগীতে

               রবে তরঙ্গিতে।

 

 

ফিরিবে না, ফিরিবে না — অস্ত গেছে সে গৌরবশশী,

               অস্তাচলবাসিনী উর্বশী!

তাই আজি ধরাতলে বসন্তের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে

কার চিরবিরহের দীর্ঘশ্বাস মিশে বহে আসে,

পূর্ণিমানিশীথে যবে দশ দিকে পরিপূর্ণ হাসি

দূরস্মৃতি কোথা হতে বাজায় ব্যাকুল-করা বাঁশি —

               ঝরে অশ্রুরাশি।

        তবু আশা জেগে থাকে প্রাণের ক্রন্দনে —

               অয়ি অবন্ধনে।