বরণ

          পুরাণে বলেছে

     একদিন নিয়েছিল বেছে

স্বয়ম্বরসভাঙ্গনে দময়ন্তী সতী

              নল-নরপতি

          ছদ্মবেশী দেবতার মাঝে।

অর্ঘ্যহারা দেবতারা চলে গেল লাজে।

          দেবমূর্তি চিনেছে সেদিন,

তারা যে ফেলে না ছায়া, তারা অমলিন।

          সেদিন স্বর্গের ধৈর্য গেল টুটি,

              ইন্দ্রলোক করিল ভ্রূকুটি।

 

তাই শুনে কত দিন একা বসে বসে

          ভেবেছিনু বালিকাবয়সে,

আমি হব স্বয়ম্বরা বিশ্বসভাতলে,

          দেবতারই গলে

          দিব মালা তপস্বিনী,

মানবের মাঝখানে একদিন লব তারে চিনি।

          তারি লাগি সর্ব দেহে মনে

দিনে দিনে বরমাল্য গাঁথিব যতনে।

 

          কঠিন সে পণ,

ভাবি নি কেমনে তারে করিব সাধন।

          মানুষ-যে দেশে দেশে

          কত ফেরে দেবতার ছদ্মবেশে ;

     ললাটে তিলক কারো লেখা ,

দেখিতে দেখিতে ওঠে কালো হয়ে তার স্বর্ণরেখা।

     কারো-বা কটিতে বাঁধা শরশূন্য তূণ,

কেহ করে বজ্রধ্বনি, নাহি তাহে বজ্রের আগুন।

  বাতায়নে বসে থাকি,

কতদিন কী দেখিয়া আশ্বাসে চমকি উঠে আঁখি ;