কল্পনা

আনন্দে আতঙ্কে মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া

          মত্ত হাহারবে

ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর

          নৃত্য হোক তবে।

ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে

          উড়ে হোক ক্ষয়

ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত

          নিষ্ফল সঞ্চয়।

 

মুক্ত করি দিনু দ্বার— আকাশের যত বৃষ্টিঝড়

          আয় মোর বুকে,

শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও

          হৃদয়ের মুখে।

বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক

          মঙ্গলনির্ঘোষ,

জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল

          কঠিন সন্তোষ।

 

সে পূর্ণ উদাত্ত ধ্বনি বেদগাথা সামমন্ত্রসম

          সরল গম্ভীর

সমস্ত অন্তর হতে মুহূর্তে অখণ্ডমূর্তি ধরি

          হউক বাহির।

নাহি তাহে দুঃখসুখ পুরাতন তাপ-পরিতাপ,

          কম্প লজ্জা ভয়—

শুধু তাহা সদ্যঃস্নাত   ঋজু শুভ্র মুক্ত জীবনের

          জয়ধ্বনিময়।

 

হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি

          পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে—

ব্যাপ্ত করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে

          ঘনঘোরস্তূপে।

কোথা হতে আচম্বিতে মুহূর্তেকে দিক্‌ দিগন্তর