কল্পনা

তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, সুস্নিগ্ধ শ্যামল,

          অক্লান্ত অম্লান'।

সদ্যোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন

          কিছু নাহি জান।

উড়েছে তোমার ধ্বজা মেঘরন্ধ্রচ্যুত তপনের

           জলদর্চিরেখা—

করজোড়ে চেয়ে আছি উর্ধ্বমুখে, পড়িতে জানি না

          কী তাহাতে লেখা।

 

হে কুমার, হাস্যমুখে তোমার ধনুকে দাও টান

          ঝনন রনন,

বক্ষের পঞ্জর ভেদি অন্তরেতে হউক কম্পিত

          সুতীব্র স্বনন।

হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী,

           করহ আহ্বান।

আমরা দাঁড়াব উঠি, আমরা ছুটিয়া বাহিরিব,

          অর্পিব পরান।

 

চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্রন্দন,

          হেরিব না দিক—

গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার

          উদ্দাম পথিক।

মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা

           উপকণ্ঠ ভরি—

খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা

          উৎসর্জন করি।

 

শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি

          শরমের ডালি,

নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের

          ধূমাঙ্কিত কালি,

লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি সূক্ষ্ম ভগ্ন-অংশ-ভাগ,