শূন্যঘর

     গোধূলি-অন্ধকারে

পুরীর প্রান্তে অতিথি আসিনু দ্বারে।

      ডাকিনু, ‘ আছ কি কেহ,

      সাড়া দেহো, সাড়া দেহো। '

ঘরভরা এক নিরাকার শূন্যতা

       না কহিল কোনো কথা।

 

বাহিরে বাগানে পুষ্পিত শাখা

           গন্ধের আহ্বানে

সংকেত করে কাহারে তাহা কে জানে।

হতভাগা এক কোকিল ডাকিছে খালি,

     জনশূন্যতা নিবিড় করিয়া

           নীরবে দাঁড়ায়ে মালী।

           সিঁড়িটা নির্বিকার

      বলে, ‘ এস আর নাই যদি এস

             সমান অর্থ তার। '

 

           ঘরগুলো বলে ফিলজফারের গলায়,

      ‘ ডুব দিয়ে দেখো সত্তাসাগর-তলায়

বুঝিতে পারিবে, থাকা নাই-থাকা

           আসা আর দূরে যাওয়া

      সবই এক কথা , খেয়ালের ফাঁকা হাওয়া। '

      কেদারা এগিয়ে দিতে কারও নেই তাড়া,

           প্রবীণ ভৃত্য ছুটি নিয়ে ঘরছাড়া।

      মেয়াদ যখন ফুরোয় কপালে,

           হায় রে তখন সেবা

           কারেই বা করে কেবা।

      মনেতে লাগিল বৈরাগ্যের ছোঁওয়া,

                 সকলি দেখিনু ধোঁওয়া।

           ভাবিলাম এই ভাগ্যের তরী