নামকরণ

                 একদিন মুখে এল নূতন এ নাম —

           চৈতালিপূর্ণিমা ব ' লে কেন যে তোমারে ডাকিলাম

                       সে কথা শুধাও যবে মোরে

                                  স্পষ্ট ক ' রে

                            তোমারে বুঝাই

                        হেন সাধ্য নাই।

           রসনায় রসিয়েছে, আর কোনো মানে

                       কী আছে কে জানে।

                 জীবনের যে সীমায়

                       এসেছ গম্ভীর মহিমায়

                            সেথা অপ্রমত্ত তুমি,

                 পেরিয়েছ ফাল্গুনের ভাঙাভাণ্ড উচ্ছিষ্টের ভুমি,

           পৌঁছিয়াছ তপঃশুচি নিরাসক্ত বৈশাখের পাশে,

                       এ কথাই বুঝি মনে আসে

                            না ভাবিয়া আগুপিছু।

           কিংবা এ ধ্বনির মাঝে অজ্ঞাত কুহক আছে কিছু।

                       হয়তো মুকুল-ঝরা মাসে

           পরিণতফলনম্র অপ্রগল্‌ভ যে মর্যাদা আসে

                            আম্রডালে,

                       দেখেছি তোমার ভালে

                 সে পূর্ণতা স্তব্ধতামন্থর —

           তার মৌন-মাঝে বাজে অরণ্যের চরম মর্মর।

           অবসন্ন বসন্তের অবশিষ্ট অন্তিম চাঁপায়

                       মৌমাছির ডানারে কাঁপায়

                            নিকুঞ্জের ম্লান মৃদু ঘ্রাণে,

           সেই ঘ্রাণ একদিন পাঠায়েছ প্রাণে,

                 তাই মোর উৎকণ্ঠিত বাণী

                       জাগায়ে দিয়েছে নামখানি।

                  সেই নাম থেকে থেকে ফিরে ফিরে

                       তোমারে গুঞ্জন করি ঘিরে