স্ফুলিঙ্গ

   ১১৪

 

  শিশির আপন বিন্দুর মাঝখানে
          রবির জ্যোতিরে বিন্দু ব’লেই জানে।

 

   ১১৫

 

শিশির সে চিরন্তন
          যদিও মিলায় মুহূর্তেই।
রাজকণ্ঠে মণিহার
          আছে তবু নিত্যই সে নেই।

 

   ১১৬

 

শীতের দুয়ারে বসন্ত যবে
         আসে যায় দ্বিধাভরে
আমের মুকুল ছুটে চলে আসে—
         ঝরে তার পথ-’পরে।

 

   ১১৭

 

শৈশবে ছাদের কোণে গোপনে ছুটিত মায়ারথ—
যেথা মরীচিকাপুরী যেথা ছিল অদেখা পর্বত।
             হারায়েছি সহজ সে পথ।
আজিকে তুলির মুখে আনি
ছুটি-লোকে অভিনব ভূগোল-সৃষ্টির মন্ত্রখানি।

 

   ১১৮

 

সকল পক্ষী মৎস্যভক্ষী
       মাছরাঙাটাই কলঙ্কিনী।
সবাই কলম ধার করে নেন,
       আমিই কেবল কলম কিনি।