ভীরু

     ম্যাট্রিকুলেশনে পড়ে

               ব্যঙ্গসুচতুর

           বটেকৃষ্ট, ভীরু ছেলেদের বিভীষিকা।

               একদিন কী কারণে

সুনীতকে দিয়েছিল উপাধি ‘পরমহংস' ব'লে।

        ক্রমে সেটা হল ‘পাতিহাঁস'।

               শেষকালে হল ‘হাঁসখালি' —

         কোনো তার অর্থ নেই, সেই তার খোঁচা।

 

আঘাতকে ডেকে আনে

    যে নিরীহ আঘাতকে করে ভয়।

        নিষ্ঠুরের দল বাড়ে,

           ছোঁয়াচ লাগায় অট্টহাসে।

        ব্যঙ্গরসিকের যত অংশ - অবতার

           নিষ্কাম বিদ্রূপসূচি বিঁধে

        অহৈতুক বিদ্বেষেতে সুনীতকে করে জরজর।

 

   একদিন মুক্তি পেল সে বেচারা,

           বেরোল ইস্কুল থেকে।

        তার পরে গেল বহুদিন —

    তবু যেন নাড়ীতে জড়িয়ে ছিল

           সেদিনের সশঙ্ক সংকোচ।

    জীবনে অন্যায় যত, হাস্যবক্র যত নির্দয়তা,

           তারি কেন্দ্রস্থলে,

    বটেকৃষ্ট রেখে গেছে কালো স্থূল বিগ্রহ আপন।

 

সে কথা জানত বটু,

    সুনীতের এই অন্ধ ভয়টাকে

        মাঝে মাঝে নাড়া দিয়ে পেত সুখ

           হিংস্র ক্ষমতার অহংকারে;