আট

আমাকে এনে দিল এই বুনো চারাগাছটি।

                   পাতার রঙ হলদে-সবুজ,

            ফুলগুলি যেন আলো পান করবার

শিল্প-করা পেয়ালা, বেগুনি রঙের

                    প্রশ্ন করি ‘ নাম কী ',

                   জবাব নেই কোনোখানে।

ও আছে বিশ্বের অসীম অপরিচিতের মহলে

          যেখানে আছে আকাশের নামহারা তারা।

         আমি ওকে ধরে এনেছি একটি ডাক-নামে

                  আমার একলা জানার নিভৃতে।

                      ওর নাম পেয়ালী।

বাগানের নিমন্ত্রণে এসেছে ডালিয়া, এসেছে ফুশিয়া,

                   এসেছে ম্যারিগোল্ড্‌,

          ও আছে অনাদরের অচিহ্নিত স্বাধীনতায়,

                       জাতে বাঁধা পড়ে নি ;

                       ও বাউল, ও অসামাজিক।

 

দেখতে দেখেতে ওই খসে পড়ল ফুল।

          যে শব্দটুকু হল বাতাসে

                             কানে   এল না।

ওর কুষ্ঠির রাশিচক্র যে নিমেষগুলির সমবায়ে

                    অণুপরিমাণ তার অঙ্ক,

ওর বুকের গভীরে যে মধু আছে

                    কণাপরিমাণ   তার বিন্দু।

একটুকু কালের মধ্যে সম্পূর্ণ ওর যাত্রা,

           একটি কল্পে যেমন সম্পূর্ণ

                    আগুনের-পাপড়ি-মেলা সূর্যের বিকাশ।

ওর ইতিহাসটুকু অতি ছোটো পাতার কোণে

          বিশ্বলিপিকারের অতি ছোটো কলমে লেখা।