সে

নেই কি আমার চোখ দুটো।

গায়ে কিসে দাগ হল লোপ

না মাখিলে গ্লিসেরিন সোপ।

 

পুঁটু বলে, আমি কালো কৃষ্টি

কখনো মাখি নি ও জিনিসটি।

কথা শুনে পায় মোর হাসি,

নই মেম - সাহেবের মাসি।

 

বাঘ বলে, নেই তোর লজ্জা?

খাব তোর হাড় মাস মজ্জা।

 

পুঁটু বলে, ছি ছি ওরে বাপ,

মুখেও আনিলে হবে পাপ।

জান না কি আমি অস্পৃশ্য,

মহাত্মা গাঁধিজির শিষ্য।

আমার মাংস যদি খাও

জাত যাবে জান না কি তাও।

পায়ে ধরি করিয়ো না রাগ!

 

ছুঁস নে ছুঁস নে, বলে বাঘ,

আরে ছি ছি, আরে রাম রাম,

বাঘনাপাড়ায় বদনাম

রটে যাবে ; ঘরে মেয়ে ঠাসা,

ঘুচে যাবে বিবাহের আশা

দেবী বাঘা - চণ্ডীর কোপে।

কাজ নেই গ্লিসেরিন সোপে।

 

জান, পুপুদিদি? আধুনিক বাঘেদের মধ্যে ভারি একাট কাণ্ড চলছে — যাকে বলে প্রগতি, প্রচেষ্টা। ওদের প্রগতিওয়ালা প্রচারকেরা বাঘ - সমাজে বলে বেড়াচ্ছে যে, অস্পৃশ্য বলে খাদ্য বিচার করা পবিত্র জন্তু - আত্মার প্রতি অবমাননা। ওরা বলছে, আজ থেকে আমরা যাকে পাব তাকেই খাব ; বাঁ থাবা দিয়ে খাব, ডান থাবা দিয়ে খাব, পিছনের থাবা দিয়েও খাব ; হালুম - মন্ত্র পড়েও খাব, না পড়েও খাব — এমন - কি, বৃহস্পতিবারেও আঁচড়ে খাব, শনিবারেও আমরা কামড়ে খাব। এত ঔদার্য। এই