সে

হাঁ ঠিক কথা। আমি অমন করে লিখি নে, হয়তো লিখতে পারি নে। আমার মালটা ও চুরি করে, তার পরে যখন পালিশ করে দেয় তখন চেনা শক্ত হয় — এমন ঢের দেখেছি। ঠিক ঐরকম আর - একটি ছড়া বানিয়েছে।

শোনাও - না।

আচ্ছা, শোনো তবে। —

 সুঁদরবনের কেঁদো বাঘ,

সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ।

যথাকালে ভোজনের

কম হলে ওজনের

 হত তার ঘোরতর রাগ।

 

 একদিন ডাক দিল গাঁ - গাঁ —

বলে, তোর গিন্নিকে জাগা।

শোন্‌ বটুরাম ন্যাড়া,

পাঁচ জোড়া চাই ভ্যাড়া,

 এখনি ভোজের পাত লাগা।

 

 বটু বলে, এ কেমন কথা,

শিখেছ কি এই ভদ্রতা।

এত রাতে হাঁকাহাঁকি

ভালো না, জান না তা কি,

 আদবের এ যে অন্যথা।

 

 মোর ঘর নেহাত জঘন্য,

মহাপশু, হেথায় কী জন্য।

ঘরেতে বাঘিনী মাসি

পথ চেয়ে উপবাসী,

 তুমি খেলে মুখে দেবে অন্ন।

 

 সেথা আছে গোসাপের ঠ্যাঙ।

আছে তো শুট্‌‍কে কোলা ব্যাঙ।

আছে বাসি খরগোশ,

গন্ধে পাইবে তোষ,