বিসর্জন
            ছিল তাঁর পুণ্য তপোবন।

 

রাজধানী কলিকাতা            তুলেছে স্পর্ধিত মাথা,
            পুরাতন নাহি ঘেঁষে কাছে।
কাষ্ঠ লোষ্ট্র চারি দিক,               বর্তমান-আধুনিক
            আড়ষ্ট হইয়া যেন আছে।
‘আজ’ ‘কাল’ দুটি ভাই             মরিতেছে জন্মিয়াই,
            কলরব করিতেছে অত।
নিশিদিন ধূলি প’ড়ে                    দিতেছে আচ্ছন্ন ক’রে
            চিরসত্য আছে যেথা যত।

 

জীবনের হানাহানি,               প্রাণ নিয়ে টানাটানি,
            মত নিয়ে বাক্য-বরিষন,
বিদ্যা নিয়ে রাতারাতি            পুঁথির প্রাচীর গাঁথি
            প্রকৃতির গণ্ডি-বিরচন,
কেবলই নূতনে আশ,            সৌন্দর্যেতে অবিশ্বাস,
            উন্মাদনা চাহি দিনরাত—
সে-সকল ভুলে গিয়ে              কোণে বসে খাতা নিয়ে
            মহানন্দে কাটিছে প্রভাত।

 

দক্ষিণের বারান্দায়             বেড়াই মুগ্ধের প্রায়,
            অপরাহ্নে পড়ে তরুচ্ছায়া—
কল্পনার ধনগুলি               হৃদয়দোলায় দুলি
            প্রতিক্ষণে লভিতেছে কায়া।
সেবি বাহিরের বায়ু           বাড়ে তাহাদের আয়ু,
            ভোগ করে চাঁদের অমিয়—
ভেদ করি মোর প্রাণ             জীবন করিয়া পান
            হইতেছে জীবনের প্রিয়।

 

এত তারা জেগে আছে              নিশিদিন কাছে কাছে,
            এত কথা কয় শত স্বরে,
তাহাদের তুলনায়              আর-সবে ছায়াপ্রায়