বিসর্জন
গোবিন্দমাণিক্যের প্রবেশ

গুণবতী।     মহারাজ, শুনিতেছ? মা'র দ্বার হতে

আমার পূজার বলি ফিরায়ে দিয়েছে।

গোবিন্দমাণিক্য।   জানি তাহা।

গুণবতী।         জান তুমি? নিষেধ কর নি

তবু? জ্ঞাতসারে মহিষীর অপমান?

গোবিন্দমাণিক্য।   তারে ক্ষমা করো প্রিয়ে!

গুণবতী।                           দয়ার শরীর

তব, কিন্তু মহারাজ, এ তো দয়া নয় —

এ শুধু কাপুরুষতা! দয়ায় দুর্বল

তুমি, নিজ হাতে দণ্ড দিতে নাহি পারো

যদি, আমি দণ্ড দিব। বলো মোরে কে সে

অপরাধী।

গোবিন্দমাণিক্য।       দেবী, আমি। অপরাধ আর

কিছু নহে, তোমারে দিয়েছি ব্যথা এই

অপরাধ।

গুণবতী।         কী বলিছ মহারাজ!

গোবিন্দমাণিক্য।                           আজ

হতে, দেবতার নামে জীবরক্তপাত

আমার ত্রিপুররাজ্যে হয়েছে নিষেধ।

গুণবতী।     কাহার নিষেধ?

গোবিন্দমাণিক্য।                         জননীর।

গুণবতী।                         কে শুনেছে?

গোবিন্দমাণিক্য।                             আমি।

গুণবতী।     তুমি! মহারাজ, শুনে হাসি আসে।

রাজদ্বারে এসেছেন ভুবন-ঈশ্বরী

জানাইতে আবেদন!

গোবিন্দমাণিক্য।   হেসো না মহিষী!

জননী আপনি এসে সন্তানের প্রাণে

বেদনা জানায়েছেন, আবেদন নহে।

গুণবতী।     কথা রেখে দাও মহারাজ! মন্দিরের