বিসর্জন
তৃতীয় দৃশ্য
প্রাসাদকক্ষ
গোবিন্দমাণিক্য
নয়নরায়ের প্রবেশ

নয়নরায়।    বিদ্রোহী সৈনিকদের এনেছি ফিরায়ে,

যুদ্ধসজ্জা হয়েছে প্রস্তুত। আজ্ঞা দাও

মহারাজ, অগ্রসর হই — আশীর্বাদ

করো —

গোবিন্দমাণিক্য।   চলো সেনাপতি, নিজে আমি যাব

রণক্ষেত্রে।

নয়নরায়।                যতক্ষণ এ দাসের দেহে

প্রাণ আছে, ততক্ষণ মহারাজ, ক্ষান্ত

থাকো, বিপদের মুখে গিয়ে —

গোবিন্দমাণিক্য।                             সেনাপতি,

সবার বিপদ-অংশ হতে, মোর অংশ

নিতে চাই আমি। মোর রাজ-অংশ, সব

চেয়ে বেশি। এস সৈন্যগণ, লহ মোরে

তোমাদের মাঝে। তোমাদের নৃপতিরে

দূর সিংহাসনচূড়ে নির্বাসিত করে

সমরগৌরব হতে বঞ্চিত কোরো না।

 

চরের প্রবেশ

 

চর।        নির্বাসনপথ হতে লয়েছে কাড়িয়া

কুমার নক্ষত্ররায়ে মোগলের সেনা ;

রাজপদে বরিয়াছে তাঁরে। আসিছেন

সৈন্য লয়ে রাজধানী পানে।

গোবিন্দমাণিক্য।                               চুকে গেল।

আর ভয় নাই। যুদ্ধ তবে গেল মিটে।