বিসর্জন

লিখেছে তো সেই — যে সর্পেরই বিষ হোক,

নিজের অক্ষরমুখে মাখায়ে দিয়েছে,

হেনেছে আমার বুকে।– বিধি, এ তোমার

শাস্তি, তার নহে। নির্বাসন! তাই হোক।

তার নির্বাসনদণ্ড তার হয়ে আমি

নীরবে বিনম্র শিরে করিব বহন।


পঞ্চম অঙ্ক
প্রথম দৃশ্য
মন্দির। বাহিরে ঝড়
রঘুপতি
পুজোপকরণ লইয়া

রঘুপতি।    এতদিনে আজ বুঝি জাগিয়াছ দেবী!

ওই রোষহুহুংকার! অভিশাপ হাঁকি

নগরের 'পর দিয়া ধেয়ে চলিয়াছ

তিমিররূপিণী! ওই বুঝি তোর

প্রলয়-সঙ্গিণীগণ দারুণ ক্ষুধায়

প্রাণপণে নাড়া দেয় বিশ্বমহাতরু!

আজ মিটাইব তোর দীর্ঘ উপবাস।

ভক্তেরে সংশয়ে ফেলি এতদিন ছিলি

কোথা দেবী? তোর খড়্গ তুই না তুলিলে

আমরা কি পারি? আজ কী আনন্দ, তোর

চণ্ডীমূর্তি দেখে! সাহসে ভরেছে চিত্ত,

সংশয় গিয়েছে ; হতমান নতশির

উঠেছে নূতন তেজে। ওই পদধ্বনি

শুনা যায়, ওই আসে তোর পূজা। জয়

মহাদেবী!