বিসর্জন

এই রক্ত দিব। এই যেন শেষ রক্ত

হয় মাতা, এই রক্তে মিটে যেন

অনন্ত পিপাসা তোর! রক্ততৃষাতুরা।

বক্ষে ছুরি বিন্ধন

 

রঘুপতি।     জয়সিংহ! জয়সিংহ! নির্দয়! নিষ্ঠুর!

এ কী সর্বনাশ করিলি রে? জয়সিংহ,

অকৃতজ্ঞ, গুরুদ্রোহী, পিতৃমর্মঘাতী,

স্বেচ্ছাচারী! জয়সিংহ, কুলিশকঠিন!

ওরে জয়সিংহ, মোর একমাত্র প্রাণ,

প্রাণাধিক, জীবন-মন্থন-করা ধন!

জয়সিংহ, বৎ স মোর, হে গুরুবৎ সল!

ফিরে আয়, ফিরে আয়, তোরে ছাড়া আর

কিছু নাহি চাহি! অহংকার অভিমান

দেবতা ব্রাহ্মণ সব যাক! তুই আয়!

 

অপর্ণার প্রবেশ

 

অপর্ণা।      পাগল করিবে মোরে। জয়সিংহ, কোথা

জয়সিংহ!

রঘুপতি।     আয় মা অমৃতময়ী! ডাক্‌

তোর সুধাকণ্ঠে, ডাক্‌ ব্যগ্রস্বরে, ডাক্‌

প্রাণপণে! ডাক্‌ জয়সিংহে! তুই তারে

নিয়ে যা মা আপনার কাছে, আমি নাহি

চাহি।

অপর্ণার মূর্ছা

প্রতিমার পদতলে মাথা রাখিয়া

 

ফিরে দে, ফিরে দে, ফিরে দে, ফিরে দে!