আকাশপ্রদীপ

         এমনতরো মিলবে কোথায়।   সময় গেছে তারই,

               সন্দেহ তার নেইকো একেবারেই।

         সময় আমার গিয়েছে, তাই গাঁয়ের ছাগল চরাই ;

               রবিশস্যে ভরা ছিল, শূন্য এখন মরাই।

          খুদকুঁড়ো যা বাকি ছিল ইঁদুরগুলো ঢুকে

               দিল কখন ফুঁকে।

          হাওয়ার ঠেলায় শব্দ করে আগলভাঙা দ্বার,

               সারাদিনে জনামাত্র নেইকো খরিদ্দার।

                     কালের অলস চরণপাতে

         ঘাস উঠেছে ঘরে আসার বাঁকা গলিটাতে।

                ওরই ধারে বটের তলায় নিয়ে চিঁড়ের থালা

         চড়ুইপাখির জন্যে আমার খোলা অতিথশালা।

 

         সন্ধে নামে পাতাঝরা শিমূলগাছের আগায়,

                     আধ-ঘুমে আধ-জাগায়

               মন চলে যায় চিহ্নবিহীন পস্‌টারিটির পথে

                          স্বপ্নমনোরথে ;

         কালপুরুষের সিংহদ্বারের ওপার থেকে

               শুনি কে কয় আমায় ডেকে —

                     “ ওরে পুতুলওলা

               তোর যে ঘরে যুগান্তরের দুয়ার আছে খোলা,

         সেথায় আগাম-বায়না-নেওয়া খেলনা যত আছে

               লুকিয়ে ছিল গ্রহণ-লাগা ক্ষণিক কালের পাছে ;

                     আজ চেয়ে দেখ্‌, দেখতে পাবি,

                                মোদের দাবি

                          ছাপ-দেওয়া তার ভালে।

               পুরানো সে নতুন আলোয় জাগল নতুন কালে।

         সময় আছে কিংবা গেছে দেখার দৃষ্টি সেই

                                 সবার চক্ষে নেই —

                     এই কথাটা মনে রেখে ওরে পুতুলওলা,

               আপন-সৃষ্টি-মাঝখানেতে থাকিস আপন-ভোলা।

         ওই যে বলিস, বিছানা তোর ভুঁয়ে চেটাই পাতা,