চলতি ছবি

রোদ্‌দুরেতে ঝাপসা দেখায় ওই-যে দূরের গ্রাম

                   যেমন ঝাপসা না-জানা ওর নাম।

          পাশ দিয়ে যাই উড়িয়ে ধূলি, শুধু নিমেষ-তরে

                   চলতি ছবি পড়ে চোখের 'পরে।

 

 

দেখে গেলেম গ্রামের মেয়ে কলসি-মাথায়-ধরা,

                              রঙিন-শাড়ি পরা ;

              দেখে গেলেম পথের ধারে ব্যাবসা চালায় মুদি ;

          দেখে গেলেম নতুন বধূ আধেক দুয়ার রুধি

          ঘোমটা থেকে ফাঁক করে তার কালোচোখের কোণা

                   দেখছে চেয়ে পথের আনাগোনা।

             বাঁধানো বট-গাছের তলায় পড়তি রোদের বেলায়

              গ্রামের ক ' জন মাতব্বরে মগ্ন তাসের খেলায়।

                   এইটুকুতে চোখ বুলিয়ে আবার চলি ছুটে,

                   এক মুহূর্তে গ্রামের ছবি ঝাপসা হয়ে উঠে।

 

 

          ওই না-জানা গ্রামের প্রান্তে সকালবেলায় পুবে

          সূর্য ওঠে, সন্ধেবেলায় পশ্চিমে যায় ডুবে।

                             দিনের সকল কাজে,

                   স্বপ্ন-দেখা রাতের নিদ্রামাঝে,

                             ওই ঘরে, ওই মাঠে,

          ওইখানে জল-আনার পথে ভিজে পায়ের ঘাটে,

                   পাখি-ডাকা ওই গ্রামেরই প্রাতে,

          ওই গ্রামেরই দিনের অন্তে স্তিমিতদীপ রাতে

                   তরঙ্গিত দুঃখসুখের নিত্য ওঠা-নাবা —

          কোনোটা বা গোপন মনে, বাইরে কোনোটা বা।

          তারা যদি তুলত ধ্বনি, তাদের দীপ্ত শিখা

                   ওই আকাশে লিখত যদি লিখা,