ক্ষণিকা

আমি তোমার ফুল্ল পুষ্পবনে

            তুলি নাই তো যূথীর একটি দল।

 

শ্রান্ত বটে আছে চরণ মম,

            পথের পঙ্ক লেগেছে দুই পায়।

আষাঢ় - মেঘে হঠাৎ এল ধারা

            আকাশ - ভাঙা বিপুল বরষায়।

ঝোড়ো হাওয়ার এলোমেলো তালে

উঠল নৃত্য বাঁশের ডালে ডালে,

ছুটল বেগে ঘন মেঘের শ্রেণী

            ভগ্নরণে ছিন্নকেতুর প্রায়।

শ্রান্ত বটে আছে চরণ মম,

            পথের পঙ্ক লেগেছে দুই পায়।

 

কেমন করে জানব মনে আমি

            কী যে আমায় ভাবলে মনে মনে।

কাহার লাগি একলা ছিলে বসে

            মুক্তকেশে আপন বাতায়নে।

তড়িৎশিখা ক্ষণিক দীপ্তালোকে              

হানতেছিল চমক তোমার চোখে,

জানত কে বা দেখতে পাবে তুমি

            আছি আমি কোথায় যে কোন্‌ কোণে।

কেমন করে জানব মনে আমি

            আমায় কী যে ভাবলে মনে মনে।

 

বুঝি গো দিন ফুরিয়ে গেল আজি,

            এখনো মেঘ আছে আকাশ ভরে।

থেমে এল বাতাস বেণুবনে,

            মাঠের ‘পরে বৃষ্টি এল ধরে।

তোমার ছায়া দিলেম তবে ছাড়ি,

লও গো তোমার ভূমি - আসন কাড়ি,

সন্ধ্যা হল— দুয়ার করো রোধ,