কালমৃগয়া
চমকিবে পশু পাখী সবে,
ছুটে যাবে কাননে কাননে–
চারি দিক ঘিরে যাব পিছে পিছে
হোঃ হোঃ হোঃ হোঃ!
দশরথের প্রবেশ
সিন্দুড়া
শিকারীগণ। জয়তি জয় জয় রাজন্ বন্দি তোমারে,
কে আছে তোমা সমান।
ত্রিভুবন কাঁপে তোমার প্রতাপে,
তোমারে করি প্রণাম!
দশরথ। শিকারীদের প্রতি
বাহার
গহনে গহনে যা রে তোরা,
নিশি ব’হে যায় যে!
তন্ন তন্ন করি অরণ্য
করী বরাহ খোঁজ্ গে!
এই বেলা যা রে!
নিশাচর পশু সবে
এখনি বাহির হবে–
ধনুর্বাণ নে রে হাতে, চল্ ত্বরা চল্।
জ্বালায়ে মশাল আলো
এই বেলা আয় রে!
[প্রস্থান
অহং– কাওয়ালি
প্রথম শিকারী। চল চল, ভাই,
ত্বরা ক’রে মোরা আগে যাই।
দ্বিতীয়। প্রাণপণ খোঁজ্ এ বন, সে বন।
তৃতীয়। চল্ মোরা ক’জন ও দিকে যাই।