প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
বাজায়ে শিরার তন্ত্রে। ফাটুক হৃদয়
ভূমানন্দে — ব্যাপ্ত হয়ে যাক শূন্যময়
গানের তানের মতো। একরাত্রি-তরে
হে অমরী, অমর করিয়া দাও মোরে।
তোমাদের বাসরকুঞ্জের বহির্দ্বারে
বসে আছি — কানে আসিতেছে বারে বারে
মৃদুমন্দ কথা, বাজিতেছে সুমধুর
রিনিঝিনি রুনুঝুনু সোনার নূপুর —
কার কেশপাশ হতে খসি পুষ্পদল
পড়িছে আমার বক্ষে, করিছে চঞ্চল
চেতনাপ্রবাহ। কোথায় গাহিছ গান।
তোমরা কাহারা মিলি করিতেছ পান
কিরণকনকপাত্রে সুগন্ধি অমৃত,
মাথায় জড়ায়ে মালা পূর্ণবিকশিত
পারিজাত — গন্ধ তারি আসিছে ভাসিয়া
মন্দ সমীরণে — উন্মাদ করিছে হিয়া
অপূর্ব বিরহে। খোলো দ্বার, খোলো দ্বার।
তোমাদের মাঝে মোরে লহো একবার
সৌন্দর্যসভায়। নন্দনবনের মাঝে
নির্জন মন্দিরখানি — সেথায় বিরাজে
একটি কুসুমশয্যা, রত্নদীপালোকে
একাকিনী বসি আছে নিদ্রাহীন চোখে
বিশ্বসোহাগিনী লক্ষ্মী, জ্যোতির্ময়ী বালা —
আমি কবি তারি তরে আনিয়াছি মালা।