পলাতকা

          চলব এবার প্রবীণতার পাকা পথে

               লক্ষ্য করে বৈতরণীর ঘাট,

গম্ভীরতার স্তম্ভিত ভার বহন করে প্রাণটা হবে কাঠ।

               সময় নষ্ট হবে না আর দিনে রাতে,

দৌড়োবে মন লেখার খাতার শুকনো পাতে পাতে —

               বৈঠকেতে চলবে না আলোচনা

          কেবলই সৎপরামর্শ কেবল ই সদ্‌বিবেচনা।

 

 

          ঘরের সকল আকাশ ব্যেপে

দারুণ শূন্য রয়েছে মোর চৌকি-টেবিল চেপে।

          তাই সেখানে টিকতে নাহি পারি

               বৈরাগ্যে মন ভারি,

          উঠোনেতে করছিনু পায়চারি।

          এমন সময় উঠল মাটি কেঁপে

হঠাৎ কে এক ঝড়ের মতো বুকের ' পরে পড়ল আমায় ঝেঁপে।

          চমক লাগল শিরে শিরে,

হঠাৎ মনে হল বুঝি বিজুই আমার এল আবার ফিরে।

          আমি শুধাই, “ কে রে, কী রে। ”

          “ আমি ভোলা ”, সে শুধু এই কয়,

          এই যেন তার সকল পরিচয়,

                   আর কিছু নেই বাকি।

আমি তখন অচেনারে দু-হাত দিয়ে বক্ষে চেপে রাখি,

          সে বললে “ ঐ বাইরে তেঁতুলগাছে

             ঘুড়ি আমার আটকে আছে,

                 ছাড়িয়ে দাও-না এসে। ”

                   এই বলে সে

          হাত ধরে মোর চলল নিয়ে টেনে।

 

 

     ওরে ওরে এই মতো যার হাজার হুকুম মেনে

কেটেছিল নটা বছর, তারি হুকুম আজো মর্ত্যতলে