প্রভাতসংগীত
কে যেন তারি নামটি ধ’রে
ডাকিছে তারে সোহাগ ক’রে
শুনিতে পেয়ে ঘুমের ঘোরে
মুখটি ফুটে
হাসিটি ফোটে,
শিশুর প্রাণে সুখের মতো
সুবাসটুকু
জাগিয়া ওঠে।
আকাশপানে চাহিয়া থাকে,
না জানি
তাহে কী সুখ পায়।
বলিতে যেন শেখে নি কিছু,
কী যেন তবু
বলিতে চায়।
আঁধার কোণে থাকিস তোরা,
জানিস কি
রে কত সে সুখ,
আকাশপানে চাহিলে পরে
আকাশপানে
তুলিলে মুখ।
সুদূর দূর, সুনীল নীল,
সুদূরে
পাখি উড়িয়া যায়।
সুনীল দূরে ফুটিছে তারা,
সুদূর হতে
আসিছে বায়।
প্রভাতকরে করি রে স্নান
ঘুমাই ফুলবাসে,
পাখির গান লাগে রে যেন
দেহের চারি
পাশে।
বাতাস যেন প্রাণের সখা,
প্রবাসে ছিল, নতুন দেখা,
ছুটিয়া আসে বুকের কাছে
বারতা শুধাইতে।
চাহিয়া আছে আমার মুখে,
কিরণময় আমারি সুখে
আকাশ যেন আমারি তরে
রয়েছে বুক পেতে।
মনেতে করি আমারি যেন
আকাশ-ভরা প্রাণ,