মানসী
     প্রাণসই রে,
মনোজ্বালা কারে কই রে!

কোমরে চাদর বাঁধিয়া, লাঠি হস্তে, মহোৎসাহে সকলের প্রস্থান।
পথে বিশু হারু মোনো ভুতোর সমাগম।
গেরুয়াবস্ত্রাচ্ছাদিত অনাবৃতপদ মুক্তিফৌজের প্রচারকঃ

ধন্য হউক তোমার প্রেম,
      ধন্য তোমার নাম,
ভুবনমাঝারে হউক উদয়
      নূতন জেরুজিলাম।
ধরণী হইতে যাক ঘৃণাদ্বেষ,
      নিঠুরতা দূর হোক—
মুছে দাও, প্রভু, মানবের আঁখি,
      ঘুচাও মরণশোক।
তৃষিত যাহারা, জীবনের বারি
      করো তাহাদের দান।
দয়াময় যিশু, তোমার দয়ায়
      পাপীজনে করো ত্রাণ।

 

      ‘ওরে ভাই বিশু, এ কে,
      জুতো কোথা  এল রেখে!
গোরা বটে, তবু হতেছে ভরসা
      গেরুয়া বসন দেখে।’

 

‘হারু, তবে তুই এগো!
      বল্‌— বাছা, তুমি কে গো!
কিচিমিচি রাখো, খিদে পেয়েছে কি?
      দুটো কলা এনে দে গো!’

 

      বধির নিদয় কঠিন হৃদয়
      তারে প্রভু দাও কোল।
অক্ষম আমি কী করিতে পারি—