শিশু

মায়ের কোলে দুলে দুলে

           ডাকে ‘আয় আয়’।

চাঁদের আঁখি জুড়িয়ে গেল

           তার মুখেতে চেয়ে,

চাঁদ ভাবে কোত্থেকে এল

            চাঁদের মতো মেয়ে।

কচি প্রাণের হাসিখানি

           চাঁদের পানে ছোটে,

চাঁদের মুখের হাসি আরো

           বেশি ফুঠে ওঠে।

এমন সাধের ডাক শুনে চাঁদ

           কেমন করে আছে—

তারাগুলি ফেলে বুঝি

           নেমে আসবে কাছে!

সুধামুখের হাসিখানি

           চুরি ক’রে নিয়ে

রাতারাতি পালিয়ে যাবে

           মেঘের আড়াল দিয়ে।

আমরা তারে রাখব ধরে

           রানীর পাশেতে।

হাসিরাশি বাঁধা রবে

           হাসিরাশিতে।