খাপছাড়া
১১

গাড়িতে মদের পিপে      ছিল তেরো-চোদ্দো,

এঞ্জিনে জল দিতে       দিল ভুলে মদ্য।

 

চাকাগুলো ধেয়ে করে    ধানখেত-ধ্বংসন,

বাঁশি ডাকে কেঁদে কেঁদে      ‘ কোথা কানু জংশন ' —

 

ট্রেন করে মাতলামি         নেহাত অবোধ্য,

সাবধান করে দিতে      কবি লেখে পদ্য।


১২

       রায়ঠাকুরানী অম্বিকা।

দিনে দিনে তাঁর     বাড়ে বাণীটার   লম্বিকা।

অবকাশ নেই     তবুও তো কোনো   গতিকে

নিজে ব ' কে যান,   কহিতে না দেন   পতিকে।

নারীসমাজের   তিনি তোরণের স্তম্ভিকা।

সয় নাকো তাঁর   দ্বিতীয় কাহারো   দম্ভিকা।


১৩

জর্মন প্রোফেসার     দিয়েছেন গোঁফে সার    কত যে!

     উঠেছে ঝাঁকড়া হয়ে খোঁচা-খোঁচা ছাঁটা ছাঁটা —

     দেখে তাঁর ছাত্রের ভয়ে গায়ে দেয় কাঁটা,

          মাটির পানেতে চোখ       নত যে।

     বৈদিক ব্যাখ্যায় বাণী তাঁর মুখে এসে

     যে নিমেষে পা বাড়ান ওষ্ঠের দ্বারদেশে

           চরণকমল হয়     ক্ষত যে।


১৪

   হাত দিয়ে পেতে হবে কী তাহে আনন্দ —

   হাত পেতে পাওয়া যাবে সেটাই পছন্দ।