জন্মদিনে

বল্গাবদ্ধ-শব্দ-অশ্বে চড়ি

মানুষ করেছে দ্রুত কালের মন্থর যত ঘড়ি।

জড়ের অচল বাধা তর্কবেগে করিয়া হরণ

অদৃশ্য রহস্যলোকে গহনে করেছে সঞ্চরণ,

ব্যূহে বঁধি শব্দ-অক্ষৌহিণী

প্রতি ক্ষণে মূঢ়তার আক্রমণ লইতেছি জিনি।

কখনো চোরের মতো পশে ওরা স্বপ্নরাজ্যতলে,

ঘুমের ভাটার জলে

নাহি পায় বাধা —

যাহা-তাহা নিয়ে আসে, ছন্দের বাঁধনে পড়ে বাঁধা,

তাই দিয়ে বুদ্ধি অন্যমনা

করে সেই শিল্পের রচনা

সূত্র যার অসংলগ্ন স্খলিত শিথিল,

বিধির সৃষ্টির সাথে না রাখে একান্ত তার মিল;

যেমন মাতিয়া উঠে দশ-বিশ কুকুরের ছানা —

এ ওর ঘাড়েতে চড়ে, কোনো উদ্দ্যেশ্যের নাই মানা,

কে কাহারে লাগায় কামড়,

জাগায় ভীষণ শব্দে গর্জনের ঝড়,

সে কামড়ে সে গর্জনে কোনো অর্থ নাই হিংস্রতার,

উদ্দাম হইয়া উঠে শুধু ধ্বনি শুধু ভঙ্গি তার।

মনে মনে দেখিতেছি, সারা বেলা ধরি

দলে দলে শব্দ ছোটে অর্থ ছিন্ন করি —

আকাশে আকাশে যেন বাজে,

আগ‌্ডুম বাগ‌্ডুম ঘোড়াডুম সাজে।